অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ এর দিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন বাংলা পক্ষ এর

14th May 2021 6:51 pm হুগলী
অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ এর দিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন বাংলা পক্ষ এর


বিশেষ সংবাদদাতা ( হুগলী ) : বাংলা পক্ষ হুগলি জেলার পক্ষ থেকে অক্ষয় তৃতীয়া এবং ঈদ এর পবিত্র দিনে চুঁচুড়া দুর্গাগতি মেমোরিয়াল হলে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা করেছিল।করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে, প্রায় বেশিরভাগ ব্লাড ব্যাংক ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, সমস্যায় পড়ছেন লক্ষ লক্ষ বাঙালি সেই কথা মাথায় রেখে বাংলাপক্ষ এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। হুগলি বাংলা পক্ষর জেলা সম্পাদক দর্পণ ঘোষ জানিয়েছেন যে এই ধরনের সামাজিক কাজ এই প্রথম নয়, এই বছরেই তারা এই নিয়ে তিনটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন। এছাড়া গত বছরে করোনার সময় হুগলি জেলার সহযোদ্ধারা সাধ্যমত গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমফানের ক্ষয়ক্ষতির পরেও হুগলি জেলার পক্ষ থেকে সুন্দরবনে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছিল। জেলা কমিটির সদস্য ঋত্বিক দে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ৩০ ইউনিটের মতো রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়া গিয়েছে এবং আরো কিছু জন রক্ত দেবেন। হুগলি জেলা সদর হসপিটালে এই রক্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার পরিস্থিতিতে বাংলা পক্ষ হুগলি জেলা যেভাবে রক্তের হাহাকার মেটাতে রক্তদান শিবির আয়োজন করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।